বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, "আমরা আন্দোলন করে জালেমকে তাড়াতে পেরেছি, কিন্তু জুলুমকে তাড়াতে পারিনি। এখনো দেশের মানুষের সঙ্গে একটি গোষ্ঠী জুলুম করছে। এই জুলুমকে তাড়াতে হলে দেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সকালে ঈদগাহ্ মাঠে ঝালকাঠি জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, দেশে ইসলামী আইন কায়েম করতে হলে আগামী নির্বাচনে ইসলামিক দলগুলোকে ভোট দিতে হবে। জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযেম হোসাইন হেলাল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫৪ বছরে দেশে যত সরকার এসেছে, তারা কেউই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, "দেশের জনগণ সংগ্রাম করেছিল, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে নিয়েছে। ২০২৪ সালে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি এবং ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। ভোটকেন্দ্রে গেলে বলা হতো ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকায় চাল বিক্রির কথা বলে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে যারা অগণিত মানুষকে হত্যা করেছিল, আর বলেছিল দেশ ছেড়ে পালাবে না, তারা পালানোর জন্য ইঁদুরের গর্তও খুঁজে পায়নি।"
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, "ঝালকাঠির আশেপাশে অনেক ভালো ভালো ইসলামী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যেমন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ছারছিনা পীর, চরমোনাই পীর ও নেছারাবাদের পীর। তারা ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠির মাটি ইসলামের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে এখানে ইসলামের পক্ষে জোয়ার উঠবে ইনশাল্লাহ।
কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা ফকরুদ্দিন খান রাজি, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও শেখ নিমুল করিম।
২২ বছর পর প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া এই কর্মী সম্মেলনে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
 
 
0 Comments