আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে মোটামুটি সবাই একমত, মন্তব্য করেছেন নুর।



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে অংশ নেওয়া সবকটি রাজনৈতিক দল মোটামুটি একমত বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ দাবি করেন।

নুর বলেন, সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কিছু কথা বলেছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা সবাই মোটামুটি একমত। আমরা চেয়েছিলাম, আজকের মিটিং থেকেই আওয়ামী লীগের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, কিছু দল বোঝাতে চেয়েছে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে তৃণমূলে সংঘাত ও সহিংসতা বাড়বে এবং আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দেবে। তবে আমার মনে হয়, এটা তাদের সঠিক ব্যাখ্যা নয়, কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এখন হলেও কিছু টুকটুক ঝামেলা হতে পারে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, গত ৫৩ বছরের ইতিহাস দেখলে দেখা যায়, নির্বাচিত সরকার যত ফেয়ার ভোটে ক্ষমতায় আসুক, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের প্রভাব থাকে। তিনি জানান, গত ছয় মাস ধরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অচল হয়ে আছে। জাতীয় নির্বাচন যদি ডিসেম্বরে হয়, তাহলে দশ মাস বাকি থাকবে, এবং এই দশ মাস কী স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিবিহীন থাকবে? এই বিষয়টি বিবেচনার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

নুর বলেন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থবিরতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রশাসনিক ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবস্থান বর্তমানে সরকারের কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়ে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে, এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতি অত্যন্ত ধীর।

তিনি আরও বলেন, কৃষি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো ভারী দায়িত্ব দুইজনের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রেল, সড়ক পরিবহন—এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয় একজনের পক্ষে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। আগামী পাঁচ বছর রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ার শর্তে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের নিয়ে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।


Post a Comment

0 Comments