![]() |
| আগুনের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া গোয়ালঘরের সামনে নুরুজ্জামান কাফি। |
দুর্বৃত্তদের আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়া আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আগুনের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র আশ্রয়স্থল এখন তাদের জন্য গোয়ালঘর। যদিও প্রশাসন থেকে আশ্বাস মিলেছে, তবুও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এমনটাই বলছেন কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “আমরা ছয় সদস্য এখন কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমার সামনে শুধু কয়লা ছাড়া আর কিছুই নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।
এর আগে কাফি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি সরকারকে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন, বলেছিলেন যে, ওই সময়সীমার মধ্যে যদি ঘর পুনর্নির্মাণ এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তবে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যে তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে, আর বাকি আছে মাত্র চার দিন।
কাফির প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, কাফি একজন সমাজসচেতন মানুষ এবং তার কনটেন্ট তরুণদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তিনি জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ছিলেন, তাই তার সঙ্গে এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার এলাকায় কোনো শত্রু নেই। তিনি প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন, যেন অপরাধীদের ধরে দ্রুত শাস্তি প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফি (শুক্রবার) কালবেলাকে বলেন, "আমাদের ঘর এখন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র গোয়ালঘরই এখন রাত কাটানোর একমাত্র স্থান। আমি বিশ্বাস করি, আমার আলটিমেটামের মধ্যেই সরকার দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে, নতুবা যে ঘোষণা দিয়েছি, তা কার্যকর করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "প্রশাসন বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিশেষ তদন্ত ইউনিট গঠন করা হয়নি।"
এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাফির ঘর পুনর্নির্মাণের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং তারা দ্রুত রিপোর্ট জমা দেবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় নুরুজ্জামান কাফি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি এ দেশের জন্য কথা বলেছি, কণ্ঠস্বর চলমান রেখেছি, তাই আজ আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।


0 Comments