মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসা প্রথমে ঘিরে রাখে র্যাব। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে র্যাব, পুলিশ ছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) অভিযানে অংশ নেয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা এবং অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান শুরু করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি আগে বসবাস করতেন, কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে যান। বর্তমানে খবর পাওয়া গেছে যে, মির্জা আজম ওই বাড়িতে থাকতে পারেন, তাই ওই খবরের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
রাত দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, মূলত র্যাবের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত আছেন। তথ্য রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ওই বাড়িতে থাকতে পারেন। তবে, অভিযান এখনও চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ভালো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, বাড়িটিতে বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মির্জা আজম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নৌকা প্রতীকে বেশ কয়েকবার জামালপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া, তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

0 Comments