আজ বুধবার ঢাকার একটি বিচারিক আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, “এই মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যও আসামি ছিলেন, কিন্তু পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। এমনকি সাক্ষ্য দিতে আসা বিদেশি সাক্ষীরাও তার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে এক জনও তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়নি।”
গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে।
গত বছরের মার্চে খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক আদালত।
২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, এবং বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম।

0 Comments