চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্কুলছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামে বাবাকে অপমানের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার এই ঘটনার শিকার হয় ওই ছাত্রী।

অভিযোগ অনুযায়ী, কিশামত নাখেন্দা গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর ছোট বোন (৯) দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছে, এবং তার চিকিৎসার জন্য দাদি একটি গরু দেন। এ নিয়ে দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের তাদের বাবাকে চোর বলে অপবাদ দেন এবং চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে হুমকি দেন। আজ যখন এই অপবাদের প্রতিবাদ করা হয়, তখন আব্দুল কাদের ওই মেয়েকে ধরেন এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন।

এই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, এবং স্থানীয় প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, দাদা আব্দুল কাদের সকাল ৯টার দিকে তাকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। বেধড়ক মারধরে তার হাঁটু, গলা ও পিঠে জখম হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রশি খুলে দেয়। 

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল কাদের বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। 

ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, "মেয়েটি ভীষণ বেয়াদব। মেরে তার পিঠের চামড়া ছিলে দেওয়া উচিত ছিল।" তার এই মন্তব্যটি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাজারহাট থানার ওসি তসলিম উদ্দিন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


Post a Comment

0 Comments